গতকাল রাত ৯টা ১৫ মিনিটে কাতার এয়ারওয়েজের ফ্লাইট, ৮টার মধ্যেই বোর্ডিং শেষ করে দোহার ফ্লাইটে চড়ে বসেছেন লিটন কুমার দাস। দোহা থেকে রাত আড়াইটায় তাঁর লাহোরের ফ্লাইট ধরার কথা। অথচ গতকাল বিকেলেও লিটনের লাহোরযাত্রার খবরে বিস্ময় প্রকাশ করেন বিসিবি প্রধান নাজমুল হাসান পাপন। তিনি বলেন, ‘ওর সঙ্গে আমার প্রতিনিয়ত কথা হয়, আমাকে তো বলেনি। কীভাবে যাবে সে, এসিসির অনুমোদনও তো লাগবে। আমার মনে হয় না, ও যাচ্ছে।’
আসলে চূড়ান্ত স্কোয়াডে না থাকায় এই মুহূর্তে লিটনকে দলে নিতে এসিসির একটা অনুমতি লাগবে, যা গতকাল পর্যন্ত পায়নি বিসিবি। তাই আপাতত লাহোরে ‘রিজার্ভ ট্রাভেলার’ হিসেবে দলের সঙ্গে যোগ দিয়েছেন লিটন। তাঁকে দলে অন্তর্ভুক্ত করার ব্যাপারে একটা আইনি জটিলতা থেকেই যাচ্ছে। মূল স্কোয়াডের কেউ ইনজুরি বা বিশেষ কোনো কারণে ছিটকে না গেলে নতুন কাউকে অন্তর্ভুক্ত করা যাবে না।
যদি সেটা নাই করা যায়, তাহলে আগামীকাল লাহোরে সুপার ফোরের প্রথম ম্যাচে বাংলাদেশ স্বাগতিক পাকিস্তানের বিপক্ষে কীভাবে খেলাবে লিটন দাসকে? এদিকে ১৭ জনের স্কোয়াডে এখন পর্যন্ত কারও চোটাঘাত নেই। তবে দলে কয়েকজনের হালকা নিগেলস (ছোটখাটো চোট) রয়েছে। টিম ম্যানেজমেন্টের একটি সূত্র ইঙ্গিত দিয়েছে, মুস্তাফিজের মতো আরও কয়েকজনের হালকা চোট রয়েছে।
প্রয়োজনে তাদের কাউকে চোটের কারণে বাদ দিয়ে দলে লিটন দাসকে অন্তর্ভুক্ত করানো হতে পারে। আজকের মধ্যেই নাকি ফিজিও একটি রিপোর্ট দিয়ে দেবেন। ইঙ্গিত স্পষ্ট, কোনো একজনকে ইনজুরির কারণে বাইরে পাঠানো হবে। এর আগে লিটন দাসকে জ্বর-পরবর্তী শরীর দুর্বলতার কারণ দেখিয়ে স্কোয়াড থেকে বাদ দেওয়ার পর ৩০ আগস্ট এনামুল হক বিজয়কে শ্রীলঙ্কায় ডেকে নেওয়া হয়।
এরপর শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে প্রথম ম্যাচের পরই ওপেনিংয়ে অনভিজ্ঞতার ব্যাপারটি প্রকটভাবে সামনে চলে আসে। অধিনায়ক সাকিব আল হাসানের মতো কোচ চন্ডিকা হাথুরুসিংহেও সে কথা সাংবাদিকদের সামনে খুলে বলেন। তারপর থেকেই সুপার ফোরে উঠলে লিটনকে দলে ফেরানো হবে বলে টিম ম্যানেজমেন্ট থেকে সিদ্ধান্ত হয়। কিন্তু বিভ্রান্তি ছড়ায় বিসিবি প্রধান নাজমুল হাসানের বক্তব্যের পর। যেখানে তিনি দাবি করেন এ ব্যাপারে কিছুই জানা নেই তাঁর। ‘আমার বাসায় আজ নির্বাচকরা এসেছিলেন, তারা তো এ ব্যাপারে কিছু বললেন না।’